বৃষ্টি মানে
বৃষ্টি মানে ভালোবাসার
টাপুর টুপুর এক নির্জনা,
বৃষ্টি আবার মাতাল বেগে
সুখের ঘরে দেয় হানা।
বৃষ্টি মানে হাত পাতিয়ে
সুখের ছোঁয়া একটু খানি,
বৃষ্টি আবার জীবন নিয়ে
করছে কত টানাটানি।
বৃষ্টি মানে সবুজ বনে মধুর হাসি
ঝরিয়ে পড়া রূপের যাদু,
বৃষ্টি কভু অকারণে
দেয় যে ব্যথা শুধু শুধু।
এই মেঘ এই রৌদ্র
এই মেঘ এই রৌদ্র
বৃষ্টি হবে কবে ?
দোয়েল পাখি গান ধরেনি
বিজলীও আজ চমকায়নি
ভয় পাবনা যদি,দেয়া না ডাকে।
কাকের ডাকে কান ফেটেছে
চোখ ধাধানো শালিকের নাচ,
পুতুল বিয়ে,বিয়ে বাড়ি
ছেলেরা সব দিছে আড়ি
সাজবেনা কেউ পুতুল বিয়ের সাজ।
প্রবাসী
প্রকৃতির সাথে যুদ্ধে মেতে
আমি প্রবাসের অভিমুখে নেমেছি
হাজারো প্রেমপ্রীতি ভালোবাসার
তোয়াক্কা না করে ঘর ছেড়েছি।
বৃষ্টি কেঁদেছিল বলে আমি কাঁদিনি।
স্বরটা যেন ভারি ভারি লাগছিল।
পরিবেশটা ভারি ছিল
কারো চোখের পানি আমি উপলব্ধি করিনি।
গাড়িতে বসে একটু হাত নেড়ে
বিদায় নিয়ে আমি প্রবাসী হয়ে গেলাম!
এখানে আপন বলতে কেউ নেই;
প্রবাস জীবন মানে একটু সময় পেলে
বিশ্রাম করা না হয় হাঁড় ভাঙ্গা পরিশ্রম।
তবুও পরিবার পরিজনের খুশির জন্য
বলতে বাধ্য ভাল আছি।
ভাল আছি শব্দটা প্রবাসীদের কমন।
শাক খেয়ে ঘিয়ের ঢেকুর মারার মত।
মা বাবার কনিষ্ঠ সন্তান হয়ে যতটুকু
ত্যাগ স্বীকার করেছি নিজ পরিবার সন্তানের জন্য
ততটুকু পারি কিনা সন্দেহ।
যুদ্ধে মেতে থাকতে হবে আমরণ পর্যন্ত।
তাই নিয়তির নিকট প্রার্থনা
নিজ সন্তানদের নিকট যেন বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়।
কবি: জুলফিকার আলী ভুট্টো, কুয়েত প্রবাসী