চট্টগ্রামের বাঁশখালী, পেকুয়া ও কুতুবদিয়ায় অভিযান চালিয়ে জলদস্যু ‘আজিজ’ বাহিনীর প্রধান আজিজসহ ৮ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)। এছাড়া গ্রেফতার অপর ৮ জন হলেন মো. কালু প্রকাশ অরফে গুরা কালু (৪০), সাহাব উদ্দিন (৪৭), নুরুল বশর (৩২), শহিদুল ইসলাম (২৮), নেজাম উদ্দিন (২৯), ছলিম উল্লাহ বাবুল (৫৫) ও জিয়াবুল হক জিকু (৫০)।
শুক্রবার ও শনিবার টানা ৪৮ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের জলদস্যু আজিজ বাহিনীর সদস্যরা কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে। উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী সাধারণ লবনচাষী ও সাগরে জেলেদের উপর অত্যাচার, চাঁদাবাজি এবং অপহরণের কাজ পরিচালনা করে আসছিলেন তারা। পরবর্তীতে উপকূলীয় সাধারণ মানুষের নানান অভিযোগের ভিত্তিতে টানা ৪৮ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে আজিজ বাহিনীর প্রধানসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে প্লাস্টিকের বস্তার ভেতরে থাকা ৩টি ওয়ান শুটারগান, ১টি দুইনলা বন্দুক, ৩টি একনলা বন্দুক, ১১ রাউন্ড গুলি এবং ৫টি দেশিয় ধাড়ালো ছুরা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১টি ট্রলারসহ জেলেদের ২টা জাল জব্দ করা হয়।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, জলদস্যু ডাকাত দলের মধ্যে আজিজের বিরুদ্ধে ৩টি, সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ৬টি এবং গুরা কালুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে। আজিজ ডাকাত, সাহাব উদ্দিন এবং গুরা কালু তিনজন মিলে তিনটি দল পরিচালনা করতো। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ চট্টগ্রামের বাঁশখালীসহ কক্সবাজারের পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী থানা এলাকায় সাগর পথে বিভিন্ন চ্যানেলে ডাকাতি করে আসছিলেন। গ্রেফতার ডাকাত দলের সদস্যদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এনইউএস