কুমিল্লাকাণ্ডের রেশ ধরে চট্টগ্রামের জেএমসেন হলে পূজা মণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত অন্তত ৭০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। হামলার প্রতিবাদে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া বন্ধ থাকলেও পরে প্রশাসনের আশ্বাসে সন্ধ্যা থেকে পতেঙ্গা সৈকত, কালুরঘাট ও অভয়মিত্র ঘাটে বিসর্জন দেওয়া শুরু করে সনাতন ধর্মের লোকজন।
১৫ অক্টোবর, শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ থেকে বের হয়ে কিছু মুসল্লি পাশের জেএমসেন হলের পূজা মণ্ডপের গেইট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় ব্যানার ছেঁড়ার পাশাপাশি প্রতিমাকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়ে বলেও অভিযোগ করেছে পূজা কমিটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক সিটিজি নিউজকে বনে, পূজা মণ্ডপে হামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
অভিযান চলমান আছে বলেও জানান তিনি
ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত শনিবার (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রামে আধাবেলা হরতালের ডাক দেন। হরতাল চলাকালে আন্দরকিল্লা এলাকায় যানবাহন চলাচল ছিল সীমিত।
হরতালের সমর্থনে সকাল থেকে জেএমসেন হল এলাকায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, জাতীয় হিন্দু মহাজোট নেতৃবৃন্দ সহ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জড়ো হন। তারা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এসময় এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নেতারা বলেন, হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়। তারা সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু গুজব রটিয়ে হিন্দুদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে, প্রতিমা ভাঙা হচ্ছে। এতে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
এফএম/এমজে