হাটহাজারী উপজেলার সরকারহাট বাজার খাগড়াছড়ি মহাসড়কের পাশে অবৈধ দোকান ঘর স্থাপনের অভিযোগ ওঠেছে যুবলীগ নেতা মাছ ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে ইতিমধ্যে প্রায় ০১ শত ২০টি দোকান ঘর বসিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ আছে, হাটহাজারীতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা, বসানো হয়েছে কাঁচা বাজার। চলছে জায়গা দখল ও উচ্ছেদ খেলা। একদিকে দখলমুক্তকরনে ঢাক ঢোল পিটিয়ে উচ্ছেদ, অন্যদিকে আবার দখল। উচ্ছেদের পরে দখলের কারণে বারবার অভিযান চালাতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। এতে সরকারের অর্থ খরচের পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে সময়। অবৈধ দখল উচ্ছেদে সরকার যতটা উদ্যোগী ঠিক ততটা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।
সরেজমিনে এর সত্যতা মিলেছে। দেখা গেছে, সওজ’র জায়গায় গড়ে ওঠেছে গাড়ি পার্কিংসহ ছোট ছোট দোকান ঘর। এর ফলে চলাচলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। দোকানে চালের কারণে যে কেউ প্রথম দেখাতে বস্তি বলে মনে করবেন।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগ হাটহাজারী- সরকারহাট বাজারের মির্জাপুর (মৌজা আরএস ১০০ নং খতিয়ানের আরএস ৭৮০৯ নং দাগের তৎসামিল বিএস ০৪ নং খতিয়ানের ৬১৪৩,৬১৪২ নং দাগের আন্দরে) ০২ একর সরকারি খাস জায়গায় অবৈধ স্থাপনা, মার্কেট ও কাঁচা বাজার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পরেও সরকারহাট বাজার খাগড়াছড়ি-মহাসড়কের পাশে দখল প্রবণতা অব্যাহতও রয়েছে।
সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে বাজার বসানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই যুবলীগ নেতা মাছ ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন জানান, খালি পড়ে আছে তাই বাজার বসিয়েছি। বর্তমানে আমাদের দলীয় সরকার ক্ষমতায়! এই সময় যদি কিছু করতে না পারি, পরে আর সম্ভব হবে না।
অবৈধ দখলদারিত্বের বিষয়ে জানতে চাইলেই সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহসান মোস্তফা বলেন, দেশব্যাপী সওজ’র জায়গা ও সরকারি খাস জায়গায় অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান চলছে। এই মুহূর্তে যে ব্যক্তি সওজ’র জায়গা দখল করে দোকানপাট ও বাজার বসিয়েছে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং যেকোনো মুহূর্তে এই দখল উচ্ছেদ করা হবে।
এসসি