চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নে কেইপিজেডের পাহাড় থেকে বন্য হাতি ঢুকে ভোর পর্যন্ত তাণ্ডব চালিয়েছে।
আজ বুধবার (৬ অক্টোবর) ভোরে আবু সিকদার বাড়িতে হাতি এ তাণ্ডব চালায়। এছাড়াও নুর মোহাম্মদ কালু ও বৃদ্ধা নুর জাহান বেগমের বসতঘর ভাঙচুরসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত নষ্ট করেছে। এ আক্রমণ থেকে বাঁচতে মশাল জ্বালিয়ে, পটকা ফাটিয়ে এবং টিন দিয়ে বাজনা বাজিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে এলাকাবাসী।
ফসলের ক্ষতিগ্রস্ত বৃদ্ধা নুর জাহান বেগম (৫৮) জানান, প্রায় ৪ বছর ধরে হাতির আক্রমণে আমাদের ঘুমও হারাম হয়ে গেছে। প্রতি রাতে দুই একটি হাতি পাহাড় থেকে নেমে বাড়িঘরে তাণ্ডব চালায়।
কৃষক আবু সৈয়দ (৫৫) জানান, হাতির তাণ্ডব নতুন নয়। দুই বছর ধরে হাতির আক্রমণে ফসলও ঘরে তুলতে পারছি না। এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভোরে খিলপাড়া এলাকায় হাতির আক্রমণে মসজিদের এক মুয়াজ্জিন গুরুতর আহত হয়। মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রক্ষায় ১৮ সেপ্টেম্বর বড়উঠান ইউনিয়নের ১২ সদস্য বিশিষ্ট ইআরটি (এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম) গ্রুপ গঠন করেন চট্টগ্রাম বন বিভাগ, বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, খাবারের খোঁজে পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতির তাণ্ডবে প্রায় সময়ই এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের ঘটনাটি আমি বনবিভাগকে জানিয়েছি।
এমকে